জামালপুর প্রতিনিধি ঃ জামালপুর জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: সুলতান মাহমুদকে নিয়ে অপপ্রচার শুরু করেছে একটি চক্র। এ জামালপুর জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা যায়, ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর জামালপুর জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেন মো: সুলতান মাহমুদ। এরপর থেকেই শতভাগ স্বচ্ছতায় ঠিকাদার নিয়োগ ও তদারকির মাধ্যমে বাস্তবায়ন হয়েছে গরিব অস্বচ্ছল পরিবারের মাঝে আধা পাকা ল্যাট্রিন। এ ছাড়াও বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়ে তা বাস্তবায়নের জন্য কঠোর পরিশ্রম করে আসছেন তিনি।
জেলায় প্রায় শত শত কোটি টাকার কাজ বাস্তবায়ন হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে জেলার ৭টি উপজেলায় প্রতিটি ইউনিয়নে ২শ ৪০ টি করে প্রায় ২০ হাজার ল্যাট্রিন ঠিকাদারের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হয়। তবে ঠিকাদারের মাধ্যমে কাজ গুলো বাস্তবায়ন হলেও নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ নিজেই বিভিন্ন জায়গায় তদারকি করে শতভাগ কাজ আদায় করে নেন। তার পাশাপাশি উপজেলা পর্যায়ে সহকারী প্রকৌশলী এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলী গন চলমান কাজগুলো যথাযথভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে পতিনিয়ত পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করার মাধ্যমে সমস্ত উন্নয়নমুলক কর্মকান্ডের সঠিক গুনগতমান বজায় রেখে চলেছেন। বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনাভাইরাস দেখা দিলে নিজের জীবন বাঁজি রেখে কর্মস্থল জামালপুরে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে কাজ করেন তিনি।
এ ছাড়াও তিনি ব্যক্তিগত ভাবেও দরিদ্র ও অহসায় মানুষ এবং শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা চালিয়ে রাখার জন্য সহযোগিতা করে আসছেন।
এদিকে জামালপুর জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রধান সহকারী জাহাঙ্গীর কবীর বাবু জানান, স্যারের জামালপুরে যোগদানের পর বিভিন্ন উন্নয়ন মুলক কাজ সঠিক ভাবে আদায় করে নিয়েছে। যা দেশের জনপ্রিয় পত্রিকা গুলোতে সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে। কিছু অসাধু ব্যক্তির স্বার্থে আঘাত লাগার কারণে তারা ষড়যন্ত্র করে আসছে। কিছু দিন ধরে একটি মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্যারকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর পোস্ট দিয়ে গুজব ছড়িয়ে যাচ্ছে। এগুলো কর্মকান্ডে স্যারের চরম সম্মানহানি হয়েছে। তিনি কখনো কোন রাজনীতির সাথে জড়িত থাকেনি।
সেই সাথে এই বিষয় গুলা নিয়ে গুজবকারীদের থেকে সবাইকে সতর্ক থাকার আহব্বান জানান তিনি। একটি সিন্ডিকেটের সুবিধা আদায় করতে না পেরে জামালপুরবাসীকে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত রাখতে একটি মহল ইতিমধ্যে বিভিন্ন পায়তারা করে আসছে। সরকারের উন্নয়ন মুলক কাজের বেঘাত সৃষ্টির পাশাপাশি রাষ্টের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে আসছে। সম্প্রতি আওয়ামী লীগ পন্থী এক সাংবাদিক সহ কয়েকজন নামধারী সাংবাদিক আমার নিকট মোটা অংকের টাকা চাদা দাবি করেছিল। আমি টাকা দিতে নাকোচ করি বিধায় তারা আমার বিরুদ্দে ও স্যারের বিরুদ্ধে উঠে পড়ে লেগেছে । অফিসিয়াল ও সামাজিক ভাবে স্যারের বিরুদ্ধে বানোয়াট, মিথ্যা তথ্য সাজিয়ে ভিত্তিহীন ও সম্মান হানিকর সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে।
এদিকে জামালপুর জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সুলতান মাহমুদ জানান, গত ৯ মার্চ আপন দেশ নামক অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিভিন্ন স্থানীয়/জাতীয়/অনলাইন পত্রিকায় নানা শিরোনামে আমাকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে । আমার স্ত্রীর নামে কোন লাইসেন্স নেই। আর তা ছাড়া আমার অফিসের স্টাফরা আমার বিষয়ে আরো ভাল জানে। আমি কখনই কোন বদলির আদেশ গুম করেনি। আমার অফিসিয়াল সকল ডকুমেন্ট সঠিক আসে। আমার স্ত্রীর নামে তেমন কোন সম্পত্তি নাই। আর আমি প্রতি বছর ইনকাম টেক্স সঠিক ভাবেই দিয়ে আসছি। আর আমার ডিপার্টমেন্ট এর উর্ধতন কর্তৃপক্ষ কখনই কাজ বাস্তবায়ন না হলে বরাদ্দ প্রদান করেন না। কিছু অসাধু ব্যাক্তিরা আমাকে মানষিক ও দাফতরিকভাবে হেয় পতিপন্ন করার জন্য সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে আসছে । মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনা করা থেকে সাংবাদিক ভাইদের অনুরাধ জানাই । মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই ।